শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

থাই মেয়েদের উড়িয়ে শুরু বাংলাদেশের

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ৯ উইকেটে জিতলেন জ্যোতি-সালমারা।
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:০৭

একে তো টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তার ওপর খেলা ঘরের মাঠে। দুই মিলিয়ে মেয়েদের এশিয়া কাপে ফেভারিট বাংলাদেশ। ফেভারিটের মতোই টুর্নামেন্ট শুরু করল বাংলাদেশের মেয়েরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে জ্যোতি-সালমারা জিতলেন ৯ উইকেটে।

থাইল্যান্ডের মেয়েরা টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল। কিন্তু ওই টস জেতা পর্যন্তই। বাকিটা সময় মাঠে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ১৯.৪ ওভারেই ৮২ রানে অলআউট থাইল্যান্ড।

দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় থাইল্যান্ড। ১৬ রানে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ বোলাররা শুরুতে এতটাই প্রতিপক্ষকে ওপর চেপে বসে যে প্রথম ৮ ওভারে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি তারা। নবম ওভারে জাহানারাকে পর পর দুই চারে দুটি বাউন্ডারি মারেন থাই মেয়েরা। তখন উইকেটে ছিলেন নথকান চনথাম ও ফিনতা মায়া। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু এই জুটি ছিন্ন হলে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। চনথাম ৩৮ বলে ২০ ও মায়া ২২ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। স্পিনার রুমানা আহমেদ ৯ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। সোহেলি আক্তার, সানজিদা আক্তার ও নাহিদা আক্তার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নিয়েছেন সালমা।

জয়ের জন্য ৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে এসে দলকে দারুণ একটা সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা হক। ব্যাটকে হাতের উইলো বানিয়ে ৩০ বলে ১০টি চারে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন শামিমা।

উদ্বোধনী জুটি ফারজানাকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। শামিমার আউট হয়ে যাওয়ার পর ফারজানা হক ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান। ২৯ বলে ২৬ ও ১১ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারজানা ও বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।


দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিশোধের মঞ্চ প্রস্তুত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বেশেষ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। প্রোটিয়াদের সেই হারের ক্ষত এখনো দগদগে। প্রস্তুত প্রতিশোধের মঞ্চও। ডি-গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা আর নেদারল্যান্ডস। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দুইবার দেখা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডসের। দুইবারই আবার বিশ্বকাপ মঞ্চে। সেখানে জয়-পরাজয়ের পাল্লা অবশ্য সমান সমানই। একবার করে জয় পেয়েছে দুই দল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০২২ সালের আসরে ১৩ রানে জিতেছিল নেদারল্যান্ডস।

শেষ দেখায় নেদারল্যান্ডস জিতলেও শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকাই। বিশ্বকাপের এবারের আসরের অন্যতম দাবিদার দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্তত সেমিফাইনালের সমীকরণে আছে তারা। সেখানে নেদারল্যান্ডসের বড় পাওয়া হবে কয়েকটা ম্যাচ জেতা।

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং এবং বোলিং লাইনআপ নিয়ে বিশ্বমঞ্চে রাজত্ব করতে অবস্থান করছে প্রোটিয়ারা। এইডেন মার্করাম, কুইন্টন ডি কক, হেনরি ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড মিলারদের নিয়ে গড়া প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ নেদারল্যান্ডসের বোলারদের শাসন করবে- এটাই তো বলা যায়। বোলিংয়েও সেরা কেশব মহারাজ, এনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসিরা।

ইতোমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে। ব্যাটসম্যানদের জন্য মৃত্যুকূপ বলা হচ্ছে এ উইকেট। এখন পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে একশ পার করার আগেই অলআউট হয়েছে দলগুলো। এরপরই সমালোচনা ওঠে। সেই সমালোচনায় সায় দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি)। ওই ভেন্যুর উইকেটকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলেছে আইসিসি। উইকেটকে আরও ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বিবৃতিও দিয়েছে তারা।

গত সোমবার শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের। আর ওই ম্যাচে দুই দল মিলে করেছে ১৫৭ রান। এরপরই ওই ভেন্যুর উইকেট নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯ দশমিক ১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই সর্বনিম্ন রান লঙ্কানদের। ৭৮ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে বেগ পেতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকেও। তারপরও ২২ বল বাকি রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।

শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার পর গত বুধবার একই ভেন্যুতে মুখোমুখি হয় ভারত ও আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা। ১৩তম ওভারে টার্গেট স্পর্শ করে ৮ উইকেটে জয় পায় ভারত।

তবে উইকেটের চেয়ে জয় নিয়েই বেশি চিন্তা করছে দুই দল। ইতোমধ্যেই একটি করে জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা আর রান রেটে পিছিয়ে থাকায় নেদারল্যান্ডস আছে দুই নম্বরে। এ ম্যাচ জিতে এককভাবে শীর্ষস্থান দখল করতে চায় দুই দলের অধিনায়ক।

প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বললেন, ‘নিউইয়র্কের ওমন উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলাটা কঠিনই ছিলো। তারপরও সাফল্যের সঙ্গে ম্যাচটি শেষ করতে পেরেছিলাম আমরা। আমাদের এখন মূল ফোকাস নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে এককভাবে শীর্ষে উঠতে চাই আমরা।’

অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস বলেন, ‘নিউইয়র্কের উইকেট নিয়ে ধারণা নেই আমাদের। যা শুনেছি বা দেখেছি, তাতে ভয়ংকরই লাগছে। তবে আশা করছি, কালকের ম্যাচে উইকেট ভালো আচরণ করবে। যেহেতু আইসিসি এখন নজরদারি করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে নামব।’


ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট মহারথ কাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

শক্তি কিংবা সামর্থ্যে সমানে সমান, কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যেতে নাহি পারি। বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি মোরা, ছিনিয়ে নিতে চাইলে আস বাইশ গজে যুদ্ধ করি। মাঠের ক্রিকেটে টগবগে উত্তেজনা, উন্মাতাল উন্মাদনা, রক্তে শিহরণ ছড়ানো রোমাঞ্চ- কোনোটিরই তো অভাব নেই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট মহারণে। বিশ্বমঞ্চে আরেকবার সেই মহারণ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ এল। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের মহাযজ্ঞে আগামীকাল মাঠে গড়াবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট মহারণ। বি-গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।

ক্রিকেটের উত্তেজনাপূর্ণ সংস্করণ টি-টোয়েন্টির দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আরও একবার ফাইনালে গিয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জস বাটলারদের। মারকাটারি এ সংস্করণের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারাই। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বমঞ্চে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে একবার। ফাইনালে একবার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে তাদেরও।

এবারের আসরেও ইতোমধ্যেই শিরোপা পুনরুদ্ধার আর ধরে রাখার মিশনে নেমে পড়েছে দুই দলই। ওমানকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া শুভ সূচনা করলেও ইংল্যান্ডের কপালে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ নিয়ে এসেছিল বৃষ্টি। স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ইংলিশদের ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই। আর এতেই কিছুটা জটিল হয়ে গেছে ইংলিশদের দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করা।

অজিদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে স্কটল্যান্ড ম্যাচে বোলারদের পারফরম্যান্স। বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে দুই পেসার মার্ক উড ও জোফরা আর্চার ভালো বল করলেও বেশি রান দিয়েছেন মঈন আলি, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ। ২ ওভার করে বল করে মঈন ১৫, জর্ডান ২৪ ও টি-টোয়েন্টির এক নম্বর বোলার আদিল দেন ২৬ রান। তবে এ ম্যাচে তারা ইকোনমির দিকে নজর দেবে বলেই বিশ্বাস ইংলিশ অধিনায়কের।

অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিচেল মার্শের দল। প্রথমে ব্যাট করে মার্কাস স্টয়নিস ও ডেভিড ওয়ার্নারের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ৯ উইকেটে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওমান। ৩ উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস। তাই এ ম্যাচে কিছুটা নির্ভারই থাকবে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় সেই সুযোগ পাবে না ইংল্যান্ড।

তবে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান অবশ্য এগিয়ে রাখছে ইংল্যান্ডকেই। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২৩ বার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। এর মধ্যে অজিদের জয় ১০ ম্যাচে এবং ইংলিশদের জয় ১১ ম্যাচে। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় ইংল্যান্ডের জয় ২টিতে আর অস্ট্রেলিয়ায় জয় একটিতে। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবশেষ তিন দেখায় দুইবারই (২০১০, ২০২১) জিতেছে ইংলিশরা। একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র (২০২২ সালে)। অন্যদিকে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচটিতেই শুধু জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য করার সুযোগ নেই। স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলিদের নিয়ে গড়া ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন যেমন ভয়ংকর, তেমনি অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাস্টন আগার, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণও ভয় ধরানোর সক্ষমতা রাখে। ব্যাটিংয়েও একই অবস্থা।

তবে দুই দলের সবশেষ দেখলে ইংল্যান্ডকে এক জায়গায় এগিয়ে রাখার সুযোগ রয়েছে; অলরাউন্ডার। সবশেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মাঠে নেমেছিল দুই অলরাউন্ডার নিয়ে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড মাঠে নেমেছিল চার অলরান্ডার নিয়ে। এটা যেমন ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়িয়েছে, তেমনি অধিনায়কের ভাণ্ডারে অস্ত্রেরও মজুদ বাড়িয়েছে। চাইলেই উইকেট বুঝে একজনকে ব্যবহার করে নিতে পারবেন অধিনায়ক।

নিজেদের দিনে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে দুই দল, সেটা সবারই জানা। তাই ক্রিকেটের এই মহারণে কাউকে এগিয়ে না রেখে বরং মাঠের খেলার ঝাঁজালো পারফরম্যান্সের অপেক্ষাই করা যাক।


শরিফুলকে নিয়ে তাড়াহুড়া করতে চায় না বিসিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছাড়ার আগেই ইনজুরি হানা দিয়েছিল বাংলাদেশ দলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টির আগে ইনজুরিতে পড়েন তাসকিন আহমেদ। যে কারণে তার বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি আক্রান্ত তাসকিনকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখে টাইগাররা। আর সেখানে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় ধাক্কা হায় বাংলাদেশ। ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম।

গেল ১ জুন ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে হাতের আঙুলে চোট পান শরিফুল ইসলাম। হার্দিক পান্ডিয়ার ফিরতি বল ধরতে গিয়ে তর্জনি আঙুলে চোট পান। পরে হাসপাতালে নিলে সেখানে ৬টি সেলাই পড়ে। যে কারনে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেরা হচ্ছে না তার। এমনকি ঠিক কবে নাগাদ তিনি মাঠে ফিরবেন সেটিও অনিশ্চিত।

শরিফুলকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইনজুরি একটা বড় ভাবনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর শরিফুল ইনজুরিতে পড়েছে। তার ইনজুরি নিয়ে আমরা অনেক বেশি চিন্তিত। ৬টি সেলাই লেগেছে আপনারা জানেন। রিকভারি মূল্যায়ন করতে আরও কদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

সুযোগ আছে ইনজুরিতে পড়া কোনো ক্রিকেটারকে বদলানোর। কিন্তু শরিফুলকে নিয়ে কোনো তারহুরো করতে চায় না নির্বাচক প্যানেল। অপেক্ষা করতে চান দ্বিতীয় ম্যাচের আগ পর্যন্ত।

গাজী আশরাফ লিপু বলেন, ‘বদলি হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছে, একজন পেস বোলার ক্যারি করছি, হাসান মাহমুদ তিনি আমাদের সাথে আছেন। শরিফুলকে পেতে আমরা আগ্রহী। আমরা কোন পর্যন্ত যেতে পারি, সেটাও একটা ব্যাপার। ৯ তারিখে আর একটা মূল্যায়ন করে দেখি, কতোটা ইমপ্রুভ করে সেটা আগে দেখি। এছাড়া আমাদের পারফরম্যান্সও একটা ব্যাপার। ততদিনে আমাদের একটা ম্যাচ হয়ে যাবে। তখন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’

শরিফুল ইনজুরিতে পড়লেও বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হলো ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। পেস বোলিংয়ের এ কান্ডারিকে নিয়ে লিপু বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে যে তাসকিন আজকে যে বোলিং করেছেন এবং যে প্রতিক্রিয়া একটু আগে আমরা পেলাম, সেখানে আশা করা যাচ্ছে তার যে রিকভারি এবং তার যে পারফরম্যান্স এনালাইসিস সে অনুয়ায়ী আমরা আশা করতে পারি, যদি অন্য কোনো ব্যাঘাত না ঘটে তাহলে তিনি শ্রীলঙ্কার সাথে খেলতে পারবেন। এখন পর্যন্ত মেডিকেল টিম থেকে আমরা এটাই জেনেছি।’


সুজনের চোখে টাইগারদের ব্যর্থতার কারণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

টাইগারদের সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে স্ট্রাগল করা বাংলাদেশ, শেষ ম্যাচে হেরে বসেছিল। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সিরিজ হেরে বসেছে। টাইগারদের এমন ব্যর্থতার প্রথম কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাটাররা যেন রান করতেই ভুলে গেছেন। টপঅর্ডার নিয়মিত বিলিয়ে আসছেন উইকেট।

এমন ব্যর্থতার কারণ স্কিল নয়, বরং মানসিক। চাপ নিয়ে খেলতে থাকলে এখান থেকে বের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না খালেদ মাহমুদ সুজন। দলের একাদশ নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই বিসিবি পরিচালক। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে, ছন্দে ফিরে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে বাংলাদেশ- এমন বিশ্বাস সুজনের।

একে তো ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স, অন্যদিকে কালেভদ্রে টিম প্র্যাকটিস। তাই গণমাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকদের ছোড়া তীরে বিদ্ধ টিম বাংলাদেশ। তবে পর্যাপ্ত অনুশীলনের অভাব নয়, খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন টাইগারদের টানা ব্যর্থতার কারণ মানসিকতা। পাশাপাশি, দলের একাদশ নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সাবেক এ অধিনায়কের।

বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘স্কিলের আমি কোনো সমস্যাই দেখি না। আমি মনে করি, এটা মানসিক সমস্যা। যখন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেললাম, তখন তামিম কেন খেলল না- আমার প্রশ্ন এটাই। জিম্বাবুয়ে সিরিজে যে ব্যাটসম্যানটা ভালো রান করেছে- সে তামিম-ই। যদি আপনি না জানেন আপনার প্রথম দল কোনটা, তাহলে এটা অবাক করারই কথা।’

বেশ একটা লম্বা সময় ধরে রানে নেই টাইগার টপ অর্ডার। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর, প্রশ্ন উঠেছে লিটন-শান্তদের যোগ্যতা নিয়েও। তবে সুজনের মতে, যোগ্যতার হিসাব টানলে এর চেয়ে ভালো দল টিম টাইগার। বিশ্বাস আছে, দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে শান্তরা।

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘লিটন, সৌম্য ও শান্ত- এ তিনজনই সফল। যদিও ওদের রান হচ্ছে না, তবে রান হবে এবং বাংলাদেশও ঘুরে দাঁড়াবে। আমি মনে করি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচই জিতবে এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ খেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তবে এতকিছুর মাঝে ব্যতিক্রম কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্রোতের বিপরীতে হেঁটে দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের মাইলফলক স্থাপন করেছেন সিনিয়র এ ক্যাম্পেইনার।

সুজন বলেন, ‘আমার মনে হয় রিয়াদ চাপে খেলতেই বেশি পছন্দ করে। আর ও সব সময় এ চাপেই ক্রিকেট খেলেছে। সে (দল থেকে) বাদ পড়ে আর ঢোকে। তার জন্য শুভকামনা। সে স্রোতের বিপরীতে খেলে নিজেকে প্রমাণ করেছে।’


পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডময় জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

প্রথমবারের মতো ২০ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়েছে ১২টি সহযোগী দেশ। তাই বেশকিছু ম্যাচ যে একপেশে হতে যাচ্ছে সেটা অনুমেয়ই ছিল। অস্ট্রেলিয়া-ওমান ম্যাচও যে সেগুলোরই একটি হবে সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। মাঠেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তৃতীয় শিরোপার খোঁজে থাকা অস্ট্রেলিয়া হেসেখেলেই হারিয়েছে এশিয়ার ওমানকে। অজিরা জয় পেয়েছে ৩৯ রানে। বি-গ্রুপে নামিবিয়াকে হটিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

তবে এসব ছাড়িয়ে এ ম্যাচটি বিশেষ নজর কেড়েছে বেশ কিছু রেকর্ডের কারণে। সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল ডেভিড ওয়ার্নার। সঙ্গে নামটা অ্যাডাম জাম্পা আর মার্কাস স্টয়নিসের।

ওমানের বিপক্ষে ওয়ার্নার খেলেছেন ৫১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। এই ইনিংসেই গড়েছেন দুটি রেকর্ড। ৩১৫৫ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান এখন তার। পেছনে ফেলেছেন ৩১২১ রান করা অ্যারন ফিঞ্চকে। ফিঞ্চ মাঠে বসেই দেখেছেন নিজের রেকর্ড ভাঙতে।

ওয়ার্নারের পরের রেকর্ডটি পুরো বিশ্বব্যাপী। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১১০টি অর্ধশতক নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইল। তার সেই রেকর্ড নিজের করে নিলেন ওয়ার্নার। এই ইনিংসের সুবাদে ১১১টি হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে এখন অজি ওপেনার।

অস্ট্রেলিয়ার এ ম্যাচের জয়ের নায়ক মার্কাস স্টয়নিস। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৩৬ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তারপর বল হাতে শিকার করেছেন তিন উইকেট। এতে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ফিফটি এবং তিন উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন তিনি। প্রথম এই কীর্তি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভোর।

আরেকটি রেকর্ড অ্যাডাম জাম্পার। টি-টোয়েন্টিতে অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ৩০০তম উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এ ম্যাচে। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে দুই উইকেট শিকারের পথে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। অ্যান্ড্রু টাইয়ের পর দ্বিতীয় অজি ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন জাম্পা। সব মিলিয়ে ২৭তম ক্রিকেটার হিসেবে তিনশ উইকেটের কীর্তি গড়লেন এই অজি স্পিনার।

বৃহস্পতিবার ব্রিজটাউনে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে অজিরা। ওই রান তাড়া করতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওমান। ফলে ৩৯ রানের জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল অজিরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা চাপেই পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তুলতেই হারিয়ে বসেছিল তিন উইকেট। তবে এরপরই ওয়ার্নার আর মার্কোস স্টয়নিসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু অস্ট্রেলিয়ার। দুজনে মিলে গড়ের একশ ছাড়ানো জুটি। ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করে ওয়ার্নার ফিরে যান ১৯তম ওভারে। তবে আরেক প্রান্তে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস। ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৫ বলে ৬৬ রান করেন তিনি।

রান তাড়ায় নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওমান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। চার ব্যাটার বাদে কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের ঘর। আয়ান খান করেন ৩০ বলে ৩৬ রান। যেটা ওমানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ১৬ বল থেকে ২৭ রান করেন মেহরান খান। অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস করেন ১৮ বল থেকে ১৮ রান। আর ১০ বল থেকে ১১ রান করেন শাকিল খান।

২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করতে পারে এশিয়ার দেশটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মার্কাস স্টয়নিস। আর দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, নাথান এলিস।


বিশ্বকাপে লঙ্কা-বাংলা তুমুল লড়াইয়ের আবহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

দর্শকদের বিনোদন ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে এগিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে দর্শকরা মেতে ওঠেন উল্লাসে। টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে গত ১ জুনই। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এক সপ্তাহ। আগামীকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় অতিপরিচিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড পেইরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এ ম্যাচ।

ক্রিকেটে অতিপরিচিত দক্ষিণ এশিয়ার এ দুটি দেশ। নিজেদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে অনেকবার। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে পরিসংখ্যান অবশ্য কথা বলছে শ্রীলঙ্কার পক্ষেই। ১৬ ম্যাচের পাঁচটিতে জয় বাংলাদেশের আর ১১টিতে জয় লঙ্কানদের। তবে আশার কথা হলো- বড় দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি জয় আছে টাইগারদের।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বেশ হতাশার। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে স্ট্রাগল করা বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে হেরে বসেছিল। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে এসে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সিরিজ হেরে বসেছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তো লড়াই-ই করতে পারেনি। টাইগারদের এমন ব্যর্থতার প্রথম কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাটাররা যেন রান করতেই ভুলে গেছেন। বিশেষ করে টপঅর্ডার ব্যাটাররা নিয়মিত বিলিয়ে আসছেন উইকেট। তবে বাংলাদেশকে অনুশীলনে বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হয়েছে।

বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেললেও ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে সেই যাত্রাটা সুখকর হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক লজ্জার হারই জুটেছে তাদের কপালে। মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা। প্রথম ম্যাচের হার স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা চাপে রাখবে শ্রীলঙ্কাকে।

এ ম্যাচে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে আরেকটি বিষয়। ডালাসের গ্র্যান্ড পেইরি স্টেডিয়াম নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর কারণ হলো অনেকটাই স্লো এখানকার উইকেট। মিরপুরের সঙ্গে মেলানো যায় অনেকটা। যেটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটা সুবিধার কারণ হবে। এখানে বাংলাদেশের ভয়ংকর অস্ত্র হবে মুস্তাফিজুর রহমান আর সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কাকে ধরাশায়ী করতে উইকেটের ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরের একবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতেই শিরোপা ঘরে তুলেছিল লঙ্কানরা। অন্যদিকে ২০০৭ সালের প্রথম আসর থেকে খেলা বাংলাদেশের বড় অর্জন বলতে কেবলই ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। আর গত আসরে প্রথম রাউন্ডে তিনটি ম্যাচ জেতা।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দুই দেশ ছাপিয়ে লড়াই হয় দুই ক্রিকেটারের মধ্যে। আগে সেই নামটা ছিল মুশফিকুর রহিম। তিনি অবসর নেওয়ায় সেই নামটা চলে এসেছে এখন রিশাদ হোসাইন আর লঙ্কান কাপ্তান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে। দুজনই লেগ-স্পিন অলরাউন্ডার। রিশাদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় হাসারাঙ্গাই এগিয়ে। তবে রিশাদ তার ব্যাটিং সক্ষমতা দেখিয়েছে হাসারাঙ্গাকে পিটিয়েই।

এ ম্যাচে বিশেষ নজর থাকবে বাংলাদেশ দলের তরুণ চার ক্রিকেটারের ওপর। তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি আর রিশাদ হোসাইন। চারজনেরই সক্ষমতা আছে ম্যাচ বের করে নেওয়ার। বাড়তি দায়িত্ব থাকবে নিয়মিত পারফর্মার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপরও।

বোলিংয়ে বেশ ভালো করছে বাংলাদেশ। নিয়মিতই ম্যাচের লাগাম ধরছে তারা। তাই লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে বাড়তি নজরটা দিতে হবে ব্যাটিংয়ের ওপরই। রানে ফিরতে দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের।

শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচে বরাবরই তীব্র লড়াই হয়। অন্তত সাদা বলের দুই ফরম্যাটে সেটা জোর দিয়েই বলা যায়। এ ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হবে বলে মেন হয় না। জিততে হলে প্রবল লড়াই করতে হবে।


হারানো সিংহাসন ফিরে পেলেন সাকিব

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৪ ১২:২৬
ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আইসিসির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিব আল হাসান আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মধ্যে চলছে ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতা। মাসের শুরুতে সাকিব, মাঝে যৌথভাবে দুজনই; মাস শেষে হাসারাঙ্গা এবং আবার সপ্তাহ না ঘুরতেই সাকিব সেই জায়গা দখল করেছেন। তবে নিজেদের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য এমনটা কমই হচ্ছে; বরং নিজেদের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে রেটিং খুইয়ে সুযোগ করে দিচ্ছেন একে অন্যকে।

টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে নেমে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর আবারও এক নম্বরে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই থেকে একে উঠে এসেছে সাকিবের নাম। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেমে গেছেন দুই নম্বরে। ফলে পুরোনো সিংহাসনে বসেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবেন সাকিব।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। তবু সাকিব শীর্ষে ফিরেছেন। কারণ বাজে পারফরম্যান্সে রেটিং পয়েন্ট খুইয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। গত মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাকিব ও হাসারাঙ্গা দুজনই যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। তাদের রেটিং পয়েন্ট ছিল সমান ২২৮।

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সেখানে পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কাড়তে পারেননি সাকিব। বল হাতে কিছুটা সফল হলেও ব্যর্থ ছিলেন ব্যাট হাতে। ফলে সিরিজ শেষে পয়েন্ট খোয়ান সাকিব। এরপর সাকিবের রেটিং দাঁড়ায় ২২৩। আর সাকিবের অবনতিতে এককভাবে শীর্ষে অবস্থান করেন হাসারাঙ্গা।

সোমবার বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানে দলের পারফরম্যান্সের সঙ্গে খারাপ ছিল হাসারাঙ্গার পারফরম্যান্সও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বল হাতে ৩.২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ২ বলে শূন্য রানে আউট হন। এমন পারফরম্যান্সের কারণে হাসারাঙ্গার রেটিং পয়েন্ট ৬ কমে গেছে। এখন হাসারাঙ্গার রেটিং পয়েন্ট ২২২, সাকিবের ২২৩। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের শীর্ষ পাঁচে বাকি তিনটি জায়গা আগের মতোই- তিনে মোহাম্মদ নবী, চারে সিকান্দার রাজা ও পাঁচে মার্কাস স্টয়নিস।

লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পুরস্কার হিসেবে ৯ ধাপ এগিয়ে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নর্কিয়া। ৩০ বছর বয়সি পেসার এখন আট নম্বরে। বোলার ও ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়েও ওপরের দিকে কোনো পরিবর্তন নেই। শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান ভারতের সূর্যকুমার যাদব, ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। আর বোলারদের প্রথম তিনে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা ও ভারতের অক্ষর প্যাটেল।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে এখন মোস্তাফিজুর রহমান, তিনি আছেন ২৩ নম্বরে। আর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা র‍্যাঙ্কিং লিটন দাসের, সব দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে যিনি ৩৯তম।


রোনালদোকে ছাড়াই গোলের হালি পর্তুগালের

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৪ ১২:২৪
ক্রীড়া ডেস্ক

আগেই জানা গিয়েছিল এ ম্যাচে মাঠে নামছেন না পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তাই সিআরসেভেনকে ছাড়াই স্কোয়াড সাঁজাতে হয়েছিল কোচ রবার্তো মার্টিনেজকে। প্রথম একাদশে দেখা গেলো না নিয়মিত একাদশের আরও কয়েকজন ফুটবলারকে। মূলত প্রস্তুতি ম্যাচকে পুরোটাই কাজে লাগানোর ছক এটেছিলেন কোচ। বাজিয়ে দেখছিলেন বেঞ্চের শক্তিকে।

তবে এতে জয় পেতে কোনো অসুবিধাই হয়নি পর্তুগিজদের। প্রতিপক্ষের জালে পূরণ করেছে গোলের হালি। প্রথমার্ধেই এলো দুই গোল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেজকে করলেন আরও দুই গোল। তবে নিজেদের জালও অক্ষত রাখতে পারেনি রোনালদোর সতীর্থরা; ফিনল্যান্ড বল জালে জড়িয়েছে ২ বার। সব মিলিয়ে ৪-২ গোলের জয় নিয়েই ইউরো প্র প্রস্তুতিপর্বের শুরুটা করলো পর্তুগাল।

লিসবনে মঙ্গলবার রাতের প্রীতি ম্যাচে ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ত মৌসুম শেষে খেলোয়াড়দের বাড়তি একটু বিশ্রাম দিতে এবং অন্যদের ঝালিয়ে নিতে নিয়মিত শুরুর একাদশে অনেক পরিবর্তন আনেন পর্তুগাল কোচ।

দলের সবচেয়ে বড় তারকা এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো স্কোয়াডেই ছিলেন না। মাঝমাঠের বড় দুই ভরসা ব্রুনো ফের্নান্দেস ও বের্নার্দো সিলভা, আক্রমণের জোয়াও ফেলিক্স ও গনসালো রামোসদের বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান মার্তিনেস। এজন্য জয় পেতে অবশ্য ভুগতে হয়নি ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের।

বল দখলে শুরু থেকে আধিপত্য করে পর্তুগাল, একই সঙ্গে আক্রমণেও। গোল পেতেও দেরি হয়নি তাদের। ১৭তম মিনিটে হেডে দলকে এগিয়ে নেন ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস। এরপর বিরতির ঠিক আগে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড জটা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রামোস, ফের্নান্দেস, ডিফেন্ডার দিয়োগো দালোতদের মাঠে নামান কোচ। মাঠে নেমেই নিজের উপস্থিতি জানান দেন ফার্নান্দেজ। ১০ মিনিটের মধ্যে চমৎকার এক গোলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন এ ম্যানইউ তারকা।

তবে হঠাৎই ম্যাচে নাটকীয়তা তৈরি করে ফিনল্যান্ড। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে গোলের জন্য দুটি শট নিয়ে দুটিতেই সফল হয় তারা। ৭২ ও ৭৭তম মিনিটে গোল দুটি করেন ফরোয়ার্ড তেমু পুক্কি। তবে সেই দোলাচল ভেঙে দেন ফার্নান্দেজ নিজেই। ৮৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ফিনল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন। বাকি সময়ে উল্লেখযোগ্য আর কিছুই করতে পারেনি ফিনল্যান্ড। ইউরোর মূল পর্বে নামার আগে আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। আগামী শনিবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ের চার দিন পর রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে রোনালদো-ফের্নান্দেসরা।


বাংলাদেশকে লড়াইয়ের বার্তা নেপাল-নেদারল্যান্ডসের

আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৪ ২২:১৯
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের মহাযজ্ঞে ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বা সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ বলা হচ্ছে গ্রুপ ডি-কে। এ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস আর নেপাল। বিশ্বকাপের নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতি গ্রুপ থেকে সুপার এইটে খেলার সুযোগ পাবে মাত্র দুটি দল। বাকি তিন দলকে বিদায় নিতে হবে গ্রুপ পর্ব থেকেই। সে কারণেই আরও বেশি নজর কেড়েছে এ গ্রুপটি।

গ্রুপ ‘ডি’ থেকে কঠিন তিনটি দল বলা হচ্ছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু বাকি দুটি দলকেও যে ফেলে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, অন্তত সে কথারই জানান দিল নেপাল-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। মাঠের খেলায় কঠিন লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে রাখল তারা।

সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না ব্যাটাররা। বিশেষ করে টপঅর্ডার ব্যাটাররা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দ্বিতীয় সুপার এইটে কোয়ালিফাই করা যে কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের, নেপালকে হারিয়ে সেটাই জানান দিল নেদারল্যান্ডস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে গ্যালারি দখলে নিয়েছিল নেপালের ক্রিকেটভক্তরা। তাদের হর্ষধ্বনি ও মেক্সিকান ওয়েভে মেতে উঠেছিল পুরো স্টেডিয়াম। নেপালের ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস দেখে মনেই হচ্ছিল না, খেলাটি নেপালে নয় যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে।

তবে ম্যাক্স ও’ডাউডের বীরত্বে সেই উল্লাস বাসায় নিয়ে যেতে পারেনি নেপাল সমর্থকরা। ডাচদের বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের পর ও’ডাউডের অপরাজিত ফিফটিতে ৬ উইকেটে ম্যাচটা জিতেছে সহযোগী দেশগুলোর পরাশক্তি-খ্যাত নেদারল্যান্ডস।

এক দশক পর বিশ্বকাপে ফিরেছে নেপাল। ফেরাটা হাস্যোজ্জ্বল হয়নি এশিয়ার দেশটির। আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১০৬ রান তুলেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। একাই লড়াই করে গেছেন অধিনায়ক রোহিত পোডেল। ৩৭ বল খেলে কোনো ছক্কা হাঁকাতে পারেননি রোহিত, ৫ চারে ৩৭ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এছাড়া গুলশান ঝাঁ (১৪) ও কারান কেসি (১৭) রান করেন। এই তিনজনের বাইরে আর একজনই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন। তিন নম্বরে খেলতে নেমে ১২ বলে ১১ রান করেছেন আনিল শাহ। ডাচদের হয়ে তিন উইকেট করে নেন টিম প্রিঙ্গেল ও লুগান ভ্যান ভিক।

এ রান নিয়েও লড়াইয়ের ইঙ্গিত ভালোই দিয়েছিল নেপাল। কিন্তু কপাল পুড়ে ফিল্ডারদের ক্যাচ ফেলে দেওয়ায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাক্স ও’ডাউডের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ডাচরা।

দিনের আরেক খেলায় বেরসিক বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের ম্যাচ। সেটা না হলেও হয়তো গতকাল নতুন অঘটনের জন্মও দিতে পারত স্কটিশরা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় স্কটল্যান্ড। বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার ফাঁকে ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯০ রান তুলে স্কটল্যান্ড। ৩১ বলে ৪১ রান করে জর্জে মুন্সি ও ৩০ বলে ৪৫ রান করে মাইকেল জোনস অপরাজিত থাকেন।

বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৯ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাটলাররা আর মাঠেই নামতে পারেননি। ম্যাচের রেজাল্ট নির্ধারণ করে দেয় বৃষ্টি। পয়েন্ট ভাগাভাগির মাধ্যমে শেষ হয় দুই প্রতিবেশীর লড়াই।


আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান খেলবে চমক দেখানো যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

টি-টোয়েন্টির সর্বশেষ বিশ্ব আসরেও স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরে সেই স্বপ্ন ভাঙে বাবর আজমের দলের। শিরোপা পুনরুদ্ধারের আরেকটি সুযোগ ম্যান ইন গ্রিনদের সামনে। সেই লক্ষ্যেই আজ মাঠে নামবেন বাবর-রিজওয়ানরা। প্রথম ম্যাচেই ‘এ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ৯টায়।

পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ হলেও ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উদ্বোধনী ম্যাচে রেকর্ড বই ওলট-পালট করে হারিয়েছে কানাডাকে; বাকি দলগুলোর জন্য বার্তা দিয়ে রেখেছে কঠিন লড়াইয়ের।

তবে কাগজে-কলমের হিসাব বলছে ভিন্ন কথা। ক্রিকেটের মারকাটারি এ সংস্করণের একবারের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আরও দুইবার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে ফাইনালে। অন্যদিকে এবারই প্রথমবার টোয়েন্টি টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই অতীত ইতিহাস বলছে এ ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানকে ফেভারিটের তকমা দিচ্ছে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংও; সেখানে পাকিস্তানের অবস্থান ষষ্ঠ আর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১২ ধাপ পিছিয়ে ১৮তম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তান এখন বুড়োদের কাতারে। সে তুলনায় এখনো অনেকটা শিশু যুক্তরাষ্ট্র; এখনো পায়নি আইসিসির পূর্ণ সদস্যের স্বীকৃতি।

এ ম্যাচের বড় পার্থক্য গড়ে দেবে বোলাররা। সেখানেও পাকিস্তানের ধারেকাছেও নেই যুক্তরাষ্ট্র। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের বোলিং লাইনকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণ বলা হয়। সেখানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পাকিস্তান অবসর থেকে ফিরিয়ে এনেছে মোহাম্মদ আমিরকে। এ বোলিং আক্রমণ দিয়ে বিশ্বের যেকোনো পরাশক্তি দেশকেও হারিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রাখে পাকিস্তান।

শক্তি কিংবা গভীরতা কোনো দিকেই কমতি নেই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে। এ ম্যাচ দিয়ে আবারও ফিরতে যাচ্ছে বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং শক্তির সাক্ষ্য দিচ্ছে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিং; সেখানে রিজওয়ানের অবস্থান তৃতীয় আর বাবরের চতুর্থ। টপঅর্ডারে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ফখর জামানের মতো অভিজ্ঞ তারকা, তার সঙ্গে উসমান খান কিংবা সাইয়ুম আইয়ুব। মিডল অর্ডারে ম্যাচের টেম্পারমেন্ট বুঝে খেলার সক্ষমতা আছে ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খানদের। শেষদিকে বড় শট খেলায় সিদ্ধহস্ত আজম খানরা। সুতরাং পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপও বেশ শক্তপোক্তই।

অভিজ্ঞতার বিচারেও যোজন যোজন এগিয়ে থাকবে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম ইতোমধ্যেই ছাড়িয়ে গেছেন শততম ম্যাচ; মোহাম্মদ রিজওয়ানও অপেক্ষায় আছেন শততম ম্যাচ খেলার গৌরবের কাছে। ফখর জামান খেলেছেন ৮৮টি ম্যাচ। যুক্তরাষ্ট্র দলে এমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন কেবল কোরি অ্যান্ডারসনই।

পাকিস্তানের ছোট্ট চিন্তার কারণ হতে পারে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলো। এ বছর চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে দুটিতে হার, একটিতে জয় ও ড্র করেছে তারা। তবে পাকিস্তানের মতো চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর যে ফিরতে সময় লাগে না সেটা দেখিয়েছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই।

বিপরীতে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে আছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের আগে কানাডাকে সিরিজ হারিয়েছে ৪-০ ব্যবধানে। সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষেও। এরপর উদ্বোধনী ম্যাচে দেখিয়েছে চমকও। এরপরই ভারত এবং পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল।
তবে এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সাইড স্ট্রেইন ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারবেন না অবসর থেকে ফেরা অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম।

তবে মজার বিষয় হলো, এ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মাঠে পাকিস্তানের ঘরের ছেলে আলি খান। যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ওভারে ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের কাছে অপরিচিত দুই দলই। এর আগে কখনোই মুখোমুখি হয়নি পাকিস্তান আর যুক্তরাষ্ট্র। তাই সতর্ক পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলেই জয় দিয়ে আসর করতে চান তিনি।


বিদেশি কোচ নিয়ে প্রশ্ন সারোয়ার ইমরানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সাধারণভাবে তাকালে বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা বলেই মনে হবে। শেষ ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা যেভাবে পরাস্ত হয়েছেন সেটাই হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশে দলের সাবেক কোচ সারোয়ার ইমরান দেখেন ভিন্ন সমস্যা। শুধু ব্যাটিং নয়, ফিল্ডিংয়েও প্রচুর দুর্বলতা দেখেন টাইগারদের। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দলে এত বিদেশি কোচের কাজ নিয়েও।

জাতীয় দলের এ সাবেক কোচ আক্ষেপ করে বলেন, ‘জানি না এত বিদেশি কোচ রেখে কী হচ্ছে আমাদের! ব্যাটিং আর ফিল্ডিংয়ের তো একদম যাচ্ছে-তাই অবস্থা। বিশেষ করে টপ-অর্ডারে কেউ রান করতে পারছে না। ফিল্ডিং ব্যাক-আপও খুব খারাপ। ফিল্ডাররা দুটি ক্যাচ উঠলে একটি ফেলে দিচ্ছে। চপলতা, ক্ষিপ্রতাও চোখে পড়ছে না।’

বাংলাদেশের শেষ ম্যাচগুলোতে রীতিমতো হতাশ করেছেন লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, সাকিব আল হাসান। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে সৌম্য সরকারের নামও। টপ-অর্ডারের চারজন রান না পেলে ব্যাটিং ভালো হবে কী করে? সেই প্রশ্ন ইমরানের। তিনি বলেন, ‘সৌম্য, লিটন, শান্ত আর সাকিব-চার মেইন ব্যাটারই খারাপ খেলছে। কারও ব্যাটেই রান নেই। কেউ হাত খুলে খেলতে পারছে না। দীর্ঘ ইনিংসও বেরিয়ে আসছে না কারও ব্যাট থেকে। ওপরের দিকের চারজনের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে ব্যাটিং ভালো হবে কী করে? একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই ভালো খেলছে।’

ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে টপ-অর্ডার ব্যাটারদের অ্যাপ্রোচ দেখে ভীষণ চটেছেন ইমরান। তার মনে হয়েছে অর্শদিপ সিং, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনার ও টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো ভয়ে ভয়ে খেলেছেন। বয়োজ্যেষ্ঠ এ কোচ বলেন, ‘আমরা তো ভীত। ভারতের বিপক্ষে গা গরমের ম্যাচে দেখলাম ওপরের দিকে নতুন বলে এমনকি পাওয়ার প্লেতেও কেউ মেরে খেলল না। খেলার চেষ্টাও করল না। দেখে মনে হলো ভারতীয় ফাস্টবোলারদের মারার সাহস নেই আমাদের টপ-অর্ডার ব্যাটারদের। ওপরের দিকে কেউ হাত খুলে মারার সাহসই করল না, আমি দেখে অবাক!’

ব্যাটিং দুর্বলতার পাশাপাশি বোলিং বিশেষ করে পেস বোলিং নিয়েও অসন্তোষ কোচ ইমরানের। বোলিংয়ের কিছু ডেভেলপ হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি বলে দাবি তার। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় পেসাররা এক ফুট, সোয়া ফুট সুইং করিয়েছেন। আর আমাদের কারও বল এক ইঞ্চিও সুইং করল না। ভারতীয় বোলাররা ভর-দুপুরে সুইং করাল আর আমরা সকালের উইকেটেও এতটুকু মুভমেন্ট পেলাম না। আমাদের ৩ পেসারের কারও বল এতটুকু সুইং করল না। এমনি জোরে জোরে বল করল।’


শুরু থেকেই পাওয়া যাবে তাসকিনকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনজুরিতে পড়েন পেসার তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সেই চোটের কারণে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাসকিনের বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়েই। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়েই দল ঘোষণা করা হয়।

দলে রাখলেও তাসকিন ঠিক কবে মাঠে নামতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা ছিল না। তবে এবার সেই শঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ থেকেই পাওয়া যাবে তাসকিনকে। প্রত্যাশিত সময় অনুযায়ী নিজের ২৪ দিনের মধ্যে রিহ্যাব শেষ করতে পেরেছেন বাংলাদেশের এই পেসার। লংকানদের বিপক্ষে খেলতেও তাই বাধা নেই তার।

বিসিবির ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। আজ আউটডোরে বোলিং করার পরিকল্পনা ছিল। যেহেতু বোলিং করার পরিকল্পনা করেছে, তাকে এ কারণে ইনডোরে আসা। ৫ জুন তার পুরোপুরি বোলিং শুরুর কথা। সেটা দেখে বলা যাবে ৭ জুনের ম্যাচে ওকে পাব কি না। এখন পর্যন্ত তার খুব ভালো অগ্রগতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাসকিনের সম্ভাবনা খুব ভালো। এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে। এ ধরনের চোট চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। এ ধরনের চোটের পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করি, ৭ জুনের মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে।’


শ্রীলঙ্কার কাঠগড়ায় বিশ্বকাপের সূচি জটিলতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জমজমাট এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিল সবাই। দুই দলই আছে নিজেদের সেরা ছন্দে। কিন্তু মাঠের খেলায় দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ল লঙ্কানরা। গুটিয়ে গেল শতরানের আগেই। আগে ব্যাট করে করতে পারল মোটে ৭৭ রান। তাই বড় ব্যবধানের হারই কপালে জুটেছে ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নদের। এমন হারের পর লঙ্কান স্পিনার মাহিশা থিকশানার দুষছেন বিশ্বকাপে লঙ্কান সূচিকেই।

দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে থিকশানা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমাদের প্রতিদিন (ম্যাচের পর) ছুটতে হবে। কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলব। এটি অন্যায্য। ফ্লোরিডা থেকে মায়ামি আসতে বিমানবন্দরে আমাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে আসার পর রাত ৮টায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ভোর ৫টায়। এটি সত্যিই অন্যায্য। তবে মাঠে খেলার সময় এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না।’

লঙ্কান এ স্পিনার আরও বলেন, ‘আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিটের। যেখানে আমাদের ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই ভেন্যুতে খেলবে। তাই তারা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানে। তারা প্রস্তুতি ম্যাচও একই ভেন্যুতে খেলেছে। আর কেউ এটি পাবে না।’

তবে থিকশানার অভিযোগের বাস্তবতাও আছে। বিশ্বকাপে প্রুপপর্বের চার ম্যাচের তিনটিই এক ভেন্যুত খেলবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও একই। প্রোটিয়ারাও চার ম্যাচের তিনটি খেলবে এক ভেন্যুতে। এ ছাড়া ইংল্যান্ড দুই ভেন্যুতে খেলবে তাদের চার ম্যাচ। এক ভেন্যুতে যত বেশি ম্যাচ ততই বাড়তি সুবিধা দলগুলোর। বাড়তি ভ্রমণক্লান্তি, কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত অভ্যস্ততার জন্য চাপ থাকে না তখন।

শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ আগামী ৮ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে ডালাসে। এরপর নেপালের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ হবে ফ্লোরিডায়। ফ্লোরিডায় অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছে শ্রীলঙ্কা। ফ্লোরিডার ম্যাচটি খেলেই তাদের ধরতে হবে সেন্ট লুসিয়ার বিমান। চতুর্থ ম্যাচটি তারা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচ শেষ করেই পরের গন্তব্যে যাওয়ার যে তাড়াহুড়া, সেটাই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লঙ্কান শিবিরে।

এমন অন্যায্যতা নিয়ে লঙ্কানদের ম্যানেজার মাহিন্দ হালানগোদা বলেছেন, আইসিসির কাছে এ নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে শ্রীলঙ্কা দল। তবে দলটির ম্যানেজার এটাও বলেছেন, অভিযোগ করতে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। এ নিয়ে এখন আর কিছু করার নেই বলেই মনে করছেন হালানগোদা।


banner close